চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। চসিকের নির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগেই এই দায়িত্ব পেলেন তিনি।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
এদিকে আর মাত্র একদিন পর অর্থাৎ আগামীকাল বুধবার (৫ আগস্ট) চসিকে আ জ ম নাছির উদ্দীনের শেষ কর্মদিবস। করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে হচ্ছে চট্টগ্রামের আলোচিত এই মেয়রকে। এর ফলে সরকার মনোনীত প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের হাতেই যাচ্ছে চসিকের দায়িত্বভার।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চসিকের মেয়র নির্বাচিত হন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। চট্টগ্রাম নগরীকে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি এবং স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরের স্বপ্ন নিয়ে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। দায়িত্ব গ্রহণের পর নগরে সকল ধরনের বিলবোর্ড উচ্ছেদ করেন। এই বিলবোর্ড ব্যবসার নিয়ন্ত্রক ছিলেন আওয়ামী লীগেরই প্রভাবশালী একাংশ।
নগরীকে একটি গ্রিন সিটিতে রূপান্তর করতে বিলবোর্ড উচ্ছেদে সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। এই সাফল্য তিনি ধরে রেখেছেন দায়িত্ব পালনের শেষদিন পর্যন্ত। এর পাশাপাশি গত পাঁচ বছরে বর্জ্য ব্যস্থাপনায় স্মার্ট এবং সৃজনশীল নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন রাখার সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানামুখী উন্নয়ন কার্যক্রমে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছেন আ জ ম নাছির। তবে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খুব বেশি কার্যকর কিছু করতে পারেননি তিনি। জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে এখনো মুক্তি পায়নি চট্টগ্রাম নগর।
গত পাঁচ বছর সিটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের সাফল্য ও ব্যর্থতা প্রসঙ্গে আ জ ম নাছির উদ্দীন জয়নিউজকে বলেন, আমি সফল নাকি ব্যর্থ তা নগরবাসী বিবেচনা করবেন। গত পাঁচ বছর আমি নগরবাসীর সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। সকল নাগরিকের সেবা করতে, তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি।
‘চট্টগ্রাম নগরীকে একটি ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটিতে রূপান্তর করতে নানামুখী প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন চট্টগ্রাম শহর একটি নান্দনিক শহর। একটি পরিচ্ছন্ন শহর। নগরের সর্বত্র নাগরিকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারে। বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে পারে।’
মেয়র বলেন, এই শহরের উন্নয়ন এবং কল্যাণে নাগরিকদের সেবায় আমি সবসময়ই নিবেদিত ছিলাম। মেয়রের দায়িত্বে না থাকলেও আমি সার্বক্ষণিক আমার সর্বস্ব দিয়ে এই শহরের নাগরিকদের পাশে থাকবো।