চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, আমি চাই বাসযোগ্য নগর গড়ে উঠুক। আমি যা শুরু করেছি বা করছি তা আগামীতে এ দায়িত্বে যারা আসবেন তাদের পথ অনেকখানি সুগম হবে। আমি লক্ষ্য করছি, নির্দেশনা দেওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করা হলেও চোখের আড়াল হওয়ার পরপরই তা আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। তা শুধু দুঃখজনক নয়, তা আমাকে ক্ষুব্ধ করে। আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, সহ্যের সীমা অতিক্রম করলে কাউকেই ক্ষমা করা হবে না।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আন্দরকিল্লা, সিরাজদ্দৌলা রোড, চকবাজার, জামালখান ও চেরাগী পাহাড় হয়ে পুনরায় আন্দরকিল্লা পর্যন্ত ‘নগর সেবায় ক্যারাভান’ কার্যক্রম পরিচালনার সময় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ধারাবাহিকভাবে ক্যারাভান কর্মসূচির ফলে জনগণ ফুটপাতে হাঁটার অধিকার ফিরে পেয়েছে। জন ও যান চলাচলে যেখানে প্রতিবন্ধকতা আছে তাকে প্রতিহত করাই নগরবাসীর প্রতি আমার দায়বদ্ধতা।
প্রশাসক সুজন বলেন, চকবাজার এলাকায় জলাবদ্ধতা একটি স্থায়ী সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী যে মেগা প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন সেবা সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে কতিপয় স্বার্থান্বেষীমহলের দীর্ঘদিনের অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করতে এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে কোথাও কাজে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে আগামীতে এর সুফল আপনারাই ভোগ করবেন।
প্রশাসক আরো বলেন, চসিকের পাশাপাশি এলাকাবাসীদেরও কিছু দায়-দায়িত্ব রয়েছে, সেবাসংস্থার কাজগুলো যথাযথভাবে হচ্ছে কি-না সে সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত আমাকে জানালে আমি তা অবশ্যই আমলে আনব। জনদুর্ভোগ লাগবে জনতার ঐক্য গড়ে তোলাই আমার কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসকের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম ও ফারজানা মুক্তা।
জয়নিউজ/কাউছার/বিআর