করোনার কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এবছর না নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকালে রেজিস্ট্রি ডাক যোগে শতাব্দী রায় নামের ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পক্ষে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ৯টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করে এই নোটিশ পাঠানো হয়।
আগামী ৩ দিনের মধ্যে নোটিশে উল্লেখিত দাবি মেনে না নিলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে ।
শতাব্দী রায় সাভারে অবস্থিত মোফাজ্জল-মোমেনা চাকলাদার মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সনের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার একজন পরীক্ষার্থী।
শতাব্দী রায়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, নোটিশে শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, জেএসসি ও এসএসসির ফলের ওপর ভিত্তি করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রস্তত করলে তিনিসহ অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল করার প্রস্তুতি থাকার পরও ভালো ফল থেকে বঞ্চিত হবেন আগের জিপিএর কারণে।
নোটিশে বলা হয়েছে, জেএসসি ও এসএসসির ফলের গড় করার কারণে একদিকে যেমন অনিয়মিত, একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য, প্রস্তুতিহীন শিক্ষার্থীর জন্য সুযোগ তৈরি হবে, তেমনি কোনো কারণে জেএসসি কিংবা এসএসসিতে কম জিপিএ পাওয়া মেধাবী, পরিশ্রমী শিক্ষার্থীরা তাদের প্রচেষ্টা প্রমাণে ব্যর্থ হবে। পূর্বের ফলাফলের গড় করে পরবর্তী পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ এক ধরনের জোরপূর্বক এবং বেআইনি বলে নোটিশে বলা হয়েছে, যা দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ আইনত করতে পারেন না।
এর আগে গতকাল বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
জয়নিউজ/পিডি