নগরের টেরিবাজারে আফিম গলির একটি ভবনে খুনের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ।
দেবর মাধব দেবনাথের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে বৌদি বিথী দেবনাথের। কিন্তু সে পরকীয়া সর্ম্পক ‘ব্ল্যাকমেইললিংয়ে’চলে যাওয়ায় গলার কাঁটা হয়ে উঠেন দেবর। এর জের ধরে নিজ হাতে দেবর মাধব দেবনাথকে খুন করেন বৌদি বিথী দেবনাথ!
গত তিনদিন আগে ঘটা এ চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে বীথি দেবনাথ গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহানের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঘটনার বিবরণে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন গণমাধ্যমকে জানান, বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক গড়ে ওই যুবক বীথিকে ফাঁদে ফেলেন। তাদের বিশেষ মুহূর্তের ছবি ফেসবুকের মাধ্যমে তার স্বামী পিন্টু দেবনাথের কাছে পাঠান। ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে ওই নারী মাধবকে বাসায় ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের কৌশলে খুন করে। পরে সেই মৃতদেহ দুদিন খাটের নিচে রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপনও করেন।
তিনি আরো বলেন, মাধব সেই বাসায় খোরাকি (টাকার বিনিময়ে খাবার) খেত। এর মধ্যেই বিথী-মাধব পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, যা শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়।
একসময় আর্থিক বিষয়ে বিবাদে জড়িয়ে বিথীর বাসায় আসা বন্ধ হয়ে যায় মাধবের। তাই বিথীকে বাইরে দেখা করার জন্য চাপ দেয় মাধব। নতুবা বিথীর অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। বিথী দেখা করলেও মাধব ফেসবুকের একটি ফেইক আইডি থেকে সেসব ভিডিও স্বামী পিন্টুকে দিয়ে দেয়। শ্বাসরোধ করে মাধবকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে তাকে খুন করা হয় বলে জানান এ কর্মকর্তা।
জয়নিউজ/পিডি