সাধারণত যেকোনো সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কমিটি গঠনের পর প্রচার-প্রসারের জন্য দৌঁড়ায়। অথচ নগর যুবদলের নেতা-কর্মীরা চব্বিশ বছর পর সাংগঠনিক পরিচয় পেয়েও একেবারে চুপ। কারণ ওরা বাঁচতে চায় মামলা থেকে, এড়াতে চায় গ্রেফতার।
গ্রেফতার-মামলা এড়াতে ২৩১ সদস্যের মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেও প্রকাশ করেনি নেতাদের নামের তালিকা। বুধবার (৩ অক্টেবর) রাতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। এক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশের তিনদিন পরও প্রকাশ করেনি নেতাদের নামের তালিকা।
যোগাযোগ করা হলে নগর যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ নতুন কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিন্ন সুরে জয়নিউজকে বলেন, প্রশাসন যে হারে গায়েবি মামলা দিচ্ছে এবং তালিকা ধরে এক এলাকার নেতা-কর্মীদের অন্য এলাকার মামলায় আসামি করছে সেই ধকল এড়ানোর জন্য আমরা পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ থেকে বিরত আছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজমল হুদা রিংকু, নুর আহমেদ গুড্ডু, এসএম রব, শাহেদ আকবর, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, রাজ্জাকসহ ২৫ জন সহসভাপতি এবং হাবিবুর রহমান মাসুম, সৈয়দ মাহবুব হোসেন, আমান উল্যাহ আমান, হুমায়ন কবির, সেলিম, ইকবাল পারভেজ, ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল হাসান লেবু, আব্দুল্লাহ টিটু, এরশাদ হোসেন, দিপংকর ভট্টাচার্যসহ ১৯ জন যুগ্ম সম্পাদক, ফেরদৌস আলম, কামাল পারভেজসহ ১৮ জনকে সহকারী সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে। তিনটি থানার জন্য একজন করে মোট পাঁচজনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। জুয়েল ও মাহবুবুর রহামানকে দেওয়া হয়েছে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব। সাথে তিনজনকে রাখা হয়েছে সহপ্রচার সম্পাদক হিসেবে।
চলতি বছরের ১ জুন নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীকে সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় যুবদল। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেনকে সিনিয়র সহসভাপতি, ছাত্রদল থেকে সদ্য বিদায়ী সহসভাপতি মোশাররফ হোসেনকে যুগ্ম সম্পাদক ও এমদাদুল হক বাদশাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দুই যুগ পর নগর যুবদল পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করল। এর আগে ২০১১ সালের নভেম্বরে কাজী বেলালকে সভাপতি এবং মোশাররফ হোসেন দীপ্তিকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন হয়েছিল। কিন্তু সেই কমিটি পূর্ণতা পায়নি। এরও ১৭ বছর আগে নগর বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করকে সভাপতি এবং যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলালকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় যুবদল।
জয়নিউজ/অভি/শহীদ