যখন উন্নত দেশসমুহে গণতন্ত্র এত ভালোভাবে কাজ করছে, তখন স্বাধীনতার পর থেকে কঠিনভাবে গণতন্ত্র চর্চা করেও আমরা আজ প্রায় একটি অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত হচ্ছি।
দেশে তথাকথিত গণতন্ত্র অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও গত ৫৪ বছরে আমাদের দেশীয় গণতন্ত্র বেশ কিছু নৃশংস স্বৈরশাসককে জন্ম দিয়েছে, যাদেরকে গণতান্ত্রিকভাবে নয় বরং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করতে হয়েছে।
এর অর্থ হচ্ছে প্রকৃত গণতন্ত্রের অভাব। প্রকৃত গণতন্ত্র ও উন্নত দেশগুলোর জনগণের মতো কিছু মানবিক গুণাবলী সৃষ্টিতে রাজনৈতিক দলগুলো ৫৪ বছরেও অবদান রাখতে পারেনি।
আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মতো একজন ব্যক্তি পেয়েও যদি আমরা সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হই তাহলে নিশ্চিতভাবেই আমাদের সার্বভৌমত্ব মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হবে।
আমরা আর আমাদের প্রতিবেশী কিংবা শক্তিশালী রাষ্ট্র কিংবা বিরাষ্ট্রীয়-ব্যক্তিদের পরামর্শে চলতে পারি না। এইবার আমাদেরকে স্বাধীনভাবে পরিকল্পনা করতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, কীভাবে আমাদের গণতান্ত্রিক স্তম্ভসমুহ এবং মূল্যবোধকে পুনর্গঠন করা যায়।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে আমরা এসব করতে পারলে, “ফ্রী এন্ড ফেয়ার ইলেকশন ফর নাথিং” (https://www.thedailystar.net/news-detail-27742)।
এর পরিবর্তে, “ফ্রী এন্ড ফেয়ার ইলেকশন ফর সামথিং হবে।” (Dr. Younus government has to arrange election when it is clear that “Free and fare election for something” is possible. Only then the government should arrange election otherwise not.)
কে, কী দাবী করলো? কিংবা কে নাখুশী কিংবা খুশী হলো এসব চিন্তা না করে শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত থেকে চেতনার সংস্কারসহ যাবতীয় সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে।
রাষ্ট্রীয় কিংবা অ-রাষ্ট্রীয় পক্ষের কোনও জোরপূর্বক পরামর্শ কিংবা ব্যর্থ রাজনৈতিক দলগুলির চাহিদা অনুযায়ী নয়, যারা ক্ষমতায় থাকাকালীন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং গণতন্ত্রের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। আমরা তাদের গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকান্ড পরিহার করে একটি উন্নত জাতি হতে চাই।
কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ ব্যতীত দ্রুত নির্বাচন আত্মঘাতী। সেই পরিবেশ কতো তাড়াতাড়ি পেতে পারি, সেক্ষেত্রে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে জনগণকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি বর্তমান সরকার এবং রাজনৈতিক দলসমূহকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
লেখক: চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি।