নগরের পুরাতন চান্দগাঁও থানা এলাকায় নির্মিত হবে আধুনিক কসাইখানা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আর্থিক সহায়তায় ও লাইভ স্টক এন্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এলডিপি) আওতায় কসাইখানাটি নির্মিত হচ্ছে। প্রায় ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক এ কসাইখানা নির্মাণে জমি দিচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীনের দপ্তরে মেয়রের সঙ্গে প্রকল্প পরিচালক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কাজী ওয়াছি উদ্দিনের মধ্যে এ বিষয়ে মতবিনিময় হয়।
মতবিনিময়কালে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে মানসম্মত কোনো কসাইখানা নেই। অথচ আইনে স্বাস্থ্যকর কসাইখানায় পশু জবাইয়ের ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা আছে। তাছাড়া মহানগরে নির্ধারিত কসাইখানায় পশু জবাই হয় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এই কসাইখানা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কসাইখানা নির্মাণের পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে কসাইখানা নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত জায়গার ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে কসাইখানা নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কসাইখানাটি নির্মিত হলে এতে একসঙ্গে একশটি পশু জবাই করা যাবে। জবাইকৃত পশুর বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে জৈব সার প্রস্তুত করা হবে।
মতবিনিময়কালে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রেয়াজুল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মেয়র কসাইখানার জন্য প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শনে যান।