রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার ঘটনায় জড়িত চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের আরও দুই কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া জয়নিউজকে বলেন, তদন্তে আটক দুইজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গিয়েছিল। পরে এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটা মামলা করা হয়। সেই মামলায় মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) তাদের নিজ কর্মস্থল থেকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে আদালতে হস্তান্তর করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।’
আটককৃতরা হলেন, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী আবুল খায়ের ভূঁইয়া (৪৫) ও মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন (৪৫)।
আবুল খায়ের কুমিল্লার সদর উপজেলার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার আনু মিয়া ভূঁইয়ার ছেলে ও আনোয়ার নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের আরব আলীর ছেলে।
এরআগে, ১৮ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে আসা লাকি আকতার নামের এক রোহিঙ্গা নারী আটক হলে রোহিঙ্গাদের এনআইডি পাওয়ার ঘটনাটি আলোচনায় আসে। পরে ইসির পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।