করোনার চিকিৎসায় ‘ককটেল’ তৈরি করল হংকং

তিন রকম অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ‘ককটেল’। রোগ অল্প থাকতে-থাকতে এ ওষুধ দিলে তা করোনা-চিকিৎসায় অব্যর্থ কাজ করছে বলে দাবি করলেন হংকংয়ের এক দল বিজ্ঞানী। সম্প্রতি ‘ল্যানসেট’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি।

- Advertisement -

আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে এই ককটেল যে একেবারেই কাজ করবে না, এমন কথা বলছেন না বিজ্ঞানীরা। তবে কতটা কাজ করবে, তা জানতে বড় মাপের গবেষণা দরকার বলে মনে করেন তারা। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত এই গবেষণাটি চলে।

- Advertisement -google news follower

হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কোক-ইয়াং ইউয়েন বলেন, সদ্য আক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ওই ককটেলটি দেওয়া হয়েছিল। দেখা গেছে, দ্রুত শরীর থেকে ভাইরাস নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

মাল্টিপল স্কেলরোসিসের ওষুধ ‘ইন্টারফেরন বিটা-১বি’, এইচআইভি’র ওষুধ ‘লোপিনাভির-রিটোনাভির’ এবং হেপাটাইটিসের ‘রিবাভিরিন’। ককটেলে রয়েছে এই তিনটি ওষুধ। ইউয়েন জানান, এই ককটেল শুধু সদ্য আক্রান্তের চিকিৎসায় কাজ দেবে তাই নয়, স্বাস্থ্যকর্মীদেরও সাহায্য করবে। কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

- Advertisement -islamibank

ওষুধটি নিরাপদ। স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্রমাগত রোগীদের সংস্পর্শে থাকতে হচ্ছে। সংক্রমণের আশঙ্কা তাদের সবচেয়ে বেশি।

এই মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিষেধকের সন্ধানে গবেষণা চলছে। ব্রিটেন, জার্মানি, চীন ও আমেরিকায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও শুরু হয়ে গেছে। হংকংয়ের এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন স্থানীয় ৬টি হাসপাতালের ১২৭ জন রোগী। তাদের প্রত্যেকেই প্রাপ্তবয়স্ক। এর মধ্যে ৮৬ জনকে দু’সপ্তাহ অ্যান্টিভাইরাল ককটেলটি দেওয়া হয়েছিল। বাকি ৪১ জনকে কন্ট্রোল গ্রুপে রেখে শুধু এইচআইভি’র ওষুধ দেওয়া হয়েছিল।

গবেষকেরা জানান, যাদের ককটেল দেওয়া হয়েছিল, তারা গড়ে ৭ দিনে সুস্থ হয়ে উঠছেন। কন্ট্রোল গ্রুপের রোগীদের সেখানে অনেকটাই বেশি সময় লাগছে সুস্থ হয়ে উঠতে।

জয়নিউজ/এসআই
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM