জামিন পাওয়ার পর কয়েকদিনের নীরবতা ভেঙে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মুখোমুখি হয়েছিলেন শিপ্রা দেবনাথ। দু’দিন আগের সেই ভিডিও বার্তায় স্যোশাল মিডিয়াতে তার ছবি ছড়িয়ে দেওয়া পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন।
এবার মামলা করতে গেলে পুলিশ তা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মঙ্গলাবর (১৮ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ তার মামলার আবেদন গ্রহণ করেনি।
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাত একজন আইনজীবীকে নিয়ে থানায় যান। কিন্তু ঘটনাটি রামু থানা এলাকার মধ্যে হওয়াতে পুলিশ মামলা নেয়নি।
তবে কক্সবাজার সদর থানার ওসি পরামর্শ দিয়েছেন, মামলাটি রামু থানা অথবা আইসিটি ট্রাইব্যুনালে করার জন্য। পরে আইনজীবীসহ ফেরত আসেন শিপ্রা ও সিফাত।
শিপ্রা দেবনাথের আইনজীবী অ্যাড. মাহবুবুল আলম টিপু বলেন, মেজর সিনহা নিহত হওয়ার পর পুলিশ শিপ্রা এবং সিফাতের ব্যক্তিগত ল্যাপটপ, মোবাইল, ক্যামেরাসহ আরো বেশ কিছু যন্ত্রপাতি জব্দ করে। সেখান থেকে তাদের ছবি নিয়ে সেগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিকৃত করে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আমার মক্কেলকে সামাজিকভাবে হেয় করা হয়েছে। সেটার সুষ্ঠু বিচারের জন্য আমরা মামলা করতে এসেছিলাম।
এর দুদিন আগে এক ভিডিও বার্তায় শিপ্রা বলেন, আমার সহকর্মী মেজর সিনহা হত্যার বিচার চাই। পুলিশ অফিসার লিয়াকত এবং প্রদীপরা মিলে তাকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেছে। বিচার প্রক্রিয়া যখন ঠিকঠাক এগুচ্ছে, তখন আমার ব্যক্তিগত ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিচ্ছেন সেই পুলিশ বাহিনীরই কিছু সদস্য। আমি মনে করি, বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করাই তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু তাদের এমন চেষ্টা সফল হবে না।