বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কিন্তু বন্ধ থাকেনি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। এক মোড় থেকে অন্য মোড়ে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রামজুড়ে।
নগরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা এ সময় ছোট-বড় সব গাড়ি থামিয়ে দেখতে চান চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কি-না। যেসব গাড়ির লাইসেন্স নেই সেগুলো তারা রাস্তার একপাশে দাঁড় করিয়ে রাখে।
শিক্ষার্থী বিক্ষোভের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, আমরা ছাত্রদের এই শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে স্বাগত জানায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স চাইছে, এই বিষয়ে আমরা তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ঋজু লক্ষ্মী নামে শিক্ষার্থী জয়নিউজকে বলেন, সারাদেশে পরিবহন খাতে যে নৈরাজ্য চলছে আমরা আর তা মেনে নেব না। সারাবাংলার ছাত্রসমাজ আজ রাস্তায় নেমেছে। আমরা সবাই ঢাকায় চলমান ছাত্রবিক্ষোভে পুলিশি হামলার বিচার চাই।
‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবেই তুমি বাংলাদেশ’ এমন অভিনব সব স্লোাগানে প্ল্যাকার্ড লিখে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বিভিন্ন বয়সের অভিভাবকদের দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানাতে। গাড়ি না পেয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন গৃহিণী শামিমা আক্তার। তিনি জয়নিউজকে বলেন, আমার কোনো কষ্ট হচ্ছে না, ছাত্রদের এই ন্যায্য আন্দোলনে আমি খুশি। আমার সন্তানরা যে আজ রাস্তায় নেমে হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলছে আমি তাতে গর্বিত।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ২ নাম্বার গেইট সড়কে গাড়ির দীর্ঘলাইন দেখা যায়। তবে ছাত্ররা পুলিশের সহায়তায় গাড়িগুলো যেতে সহযোগিতা করছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ঢাকায় জাবেলা নূর পরিবহনে বাসচাপায় দুই স্কুল ছাত্রের নিহত হওয়ার ঘটনায় ঢাকাসহ সারাদেশে ছাত্ররা ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এ অবস্থায় আজ ২ আগস্ট সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ঘোষণা করে সরকার।