সেই ডাস্টবিনটি এখন ফুলের বাগান

নগরের আলকরণে ঢোকার পথেই চোখে পড়তো ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। ডাস্টবিনের উপচে পড়া ময়লার দুর্গন্ধে পথচলাই ছিল দায়। কিন্তু সেই দিন আর নেই। দিন পাল্টেছে নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীনের দূরদর্শী নির্দেশনায়। আলকরণের ‘আপদ’ ডাস্টবিনটির জায়গায় এখন স্থান করে নিয়েছে নয়নাভিরাম এক ফুলের বাগান। বিস্তারিত জানাচ্ছেন জয়নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক কাউছার খান

নগরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা আলকরণ। এলাকার জেনারেল পোস্ট অফিসের (জিপিও) সামনে রাস্তার উপর গড়ে ওঠা ডাস্টবিনের জায়গায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নির্দেশনায় এখন ফুলের বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। স্থায়ী ডাস্টবিন না হলেও দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার ওই অংশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছিলেন স্থানীয়রা। যে কারণে ওই রাস্তায় চলাচল করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

- Advertisement -

এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার উপরে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছিলেন স্থানীয়রা। এভাবে ময়লা ফেলতে ফেলতে রাস্তার এক পাশ একসময় ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়। এই ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করে ফুলের বাগান করার উদ্যোগ নেওয়ায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও আলকরণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিমকে ধন্যবাদ জানান তারা।

- Advertisement -google news follower

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় আলকরণে মেয়র মোনাজাত করে ও ফিতা কেটে আলকরণ চত্বরের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, সংরক্ষিত কাউন্সিলর নিলু নাগ, লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম।

উদ্বোধনের পর মেয়র জয়নিউজকে বলেন, আলকরণ চত্বরে স্থায়ী ডাস্টবিন ছিল না। তবে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা ফেলে চত্বরের এই অংশকে একরকম ডাস্টবিনেই পরিণত করা হয়েছিল। নগরকে ক্লিন এন্ড গ্রিন সিটি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশের ডাস্টবিনগুলোকে ফুলের বাগানে পরিণত করছে চসিক। এর অংশ হিসেবে এই চত্বরেও ফুলের বাগান করা হয়েছে।

- Advertisement -islamibank

ব্যক্তি, শিল্প ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত অংশগ্রহণে সুন্দর নগর গড়ে তোলা সহজ হয়ে উঠছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, নান্দনিক নগর গড়ে তোলার লক্ষ্যে সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

নগরের সৌন্দর্যবর্ধন এবং সবুজায়নে চসিক ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে উল্লেখ করে মেয়র যোগ করেন, ইতিমধ্যে নগরের অনেকগুলো সড়কদ্বীপ সেজেছে সবুজ সাজে। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য অনেকগুলো স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সহায়তার জন্য বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এতে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান।

প্রকল্পের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী আদিওস ইস্ক’র সত্ত্বাধিকারী মো. আবদুল আহাদ জয়নিউজকে বলেন, প্রায় ৪ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই এলাকার সৌন্দর্যবর্ধনে কাজ করছি। প্রকল্পটিতে পৃষ্ঠপোষকতা করছে শামিমা করপোরেশন।

আবদুল আহাদ বলেন, আলকরণ এলাকার ফুটপাত ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছিল। দুর্গন্ধের কারণে এলাকাবাসীর যেমন সমস্যা হত, তেমনি পথচারীসহ হাসপাতাল-ক্লিনিকে আসা রোগীরাও ভোগান্তিতে পড়তেন। এছাড়াও এলাকাটি অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকায় নানা সময়ে ছিনতাইয়ের শিকারও হতে হয়েছে অনেককে।

তিনি বলেন, এ অবস্থার উত্তরণে সিটি করপোরেশনের সহায়তায় সবুজায়ন কর্মসূচির আওতায় আমরা এলাকার সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নিই। প্রকল্পের আওতায় দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান এবং পথচারীদের হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও পুরো এলাকাটির আলোকায়ন ব্যবস্থার সংস্কার করা হচ্ছে।

জয়নিউজ/জুলফিকার
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM